ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম অনেকেরই হয়তো জানা নেই। নিয়মটা বেশ সহজ। তবে ঠিকভাবে না বুঝতে কঠিনও বটে। তাই আজ আমরা ইনকাম ট্যাক্স এর সকল নিয়মকানুন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। লেখাটি পড়ে ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া নিয়ে আপনার আর কোনো দ্বিধাদ্বন্দ থাকবে না।
ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার নিয়ম
ইনকাম ট্যাক্স কীভাবে জমা দিতে হবে তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দে ভুগেন। তাই এখানে আয়কর জমা দেওয়ার পদক্ষেপগুলি আলোচনা করা হয়েছে:
- আপনার আয়কর ফর্ম পূরণ করুন। আপনি আপনার আয়কর ফর্মটি অনলাইনে, ডাকযোগে বা ব্যক্তিগতভাবে পূরণ করতে পারেন।
- আপনার আয়কর ফর্মের সাথে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা দিন। এই নথিগুলির মধ্যে আপনার W-2 ফর্ম, 1099 ফর্ম এবং অন্যান্য আয়ের নথি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
- আপনার আয়কর ফর্মটি জমা দিন। আপনি আপনার আয়কর ফর্মটি অনলাইনে, ডাকযোগে বা ব্যক্তিগতভাবে জমা দিতে পারেন।
- আপনার কর প্রদান করুন। আপনি আপনার কর প্রদান করতে পারেন চেক, ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে।
- আপনার কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পরে, আপনি একটি কর ফেরত বা কর পাওনা পাবেন। আপনার কর ফেরত বা কর পাওনা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
যদি আপনার আয়কর ফর্মটি পূরণ করতে অসুবিধা হয় তবে আপনি একজন আয়কর পরামর্শদাতার সাহায্য নিতে পারেন। একজন আয়কর পরামর্শদাতা আপনাকে আপনার আয়কর ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে এবং আপনার প্রদেয় কর পরিমাণ নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারেন।
আয়কর জমা দেওয়ার সময়, আপনার অবশ্যই নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে:
- আপনার আয়কর ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে কিনা।
- আপনার আয়কর ফর্মের সাথে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা করা হয়েছে কিনা।
- আপনার কর প্রদান করা হয়েছে কিনা।
- আপনার কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়েছে কিনা।
আয়কর জমা দেওয়ার সময়, আপনার অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আয়কর ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ না করলে, আপনি অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হতে পারে। প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি জমা না করলে, আপনার কর ফাইলিংয়ের জন্য জরিমানা দিতে হতে পারে। কর প্রদান না করলে, আপনার কর পাওনা থাকতে পারে। কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে, আপনি জরিমানা দিতে হতে পারে।
আপনি যদি আয়কর সম্পর্কে আরও জানতে চান তবে আপনি জাতীয় আয়কর প্রশাসনের (IRS) ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন। IRS ওয়েবসাইটে আপনি আয়কর ফর্ম, আয়কর নির্দেশিকা এবং অন্যান্য আয়কর সম্পর্কিত তথ্য পাবেন।
বছরে কত টাকা আয় করলে আয়কর দিতে হবে?
বাংলাদেশে বছরে কত টাকা আয় করলে আয়কর দিতে হবে তা নির্ভর করে করদাতার আয়ের উৎস, বয়স, বিবাহিত অবস্থা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর। সাধারণত, একজন করদাতা তার মোট আয় থেকে ব্যয় বাদ দিয়ে যে পরিমাণ আয় পান তা করযোগ্য আয় হিসাবে বিবেচিত হয়। করযোগ্য আয়ের উপর কর হার নির্ধারণ করা হয়।
করদাতার আয়ের উৎস অনুসারে কর হার বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন, বেতনভোগী করদাতাদের কর হার ব্যবসায়ী করদাতাদের চেয়ে কম। করদাতার বয়সও কর হারকে প্রভাবিত করে। যেমন, ষাট বছর বা তার বেশি বয়সী করদাতাদের কর হার কম। করদাতার বিবাহিত অবস্থাও কর হারকে প্রভাবিত করে। যেমন, বিবাহিত করদাতাদের কর হার অবিবাহিত করদাতাদের চেয়ে কম।
বাংলাদেশে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য করদাতাদের অবশ্যই একটি আয়কর ফর্ম পূরণ করতে হবে। আয়কর ফর্মগুলি করদাতাদের আয়, ব্যয় এবং করযোগ্য আয়ের বিবরণ প্রদান করতে হবে। আয়কর ফর্মগুলি করদাতাদের নিজস্বভাবে পূরণ করা যেতে পারে, অথবা তারা একজন আয়কর পরামর্শদাতার সাহায্য নিতে পারেন।
২০২৩ সালে বাংলাদেশের আয়কর হার নিম্নরূপ:
- মোট আয় ০-৩ লাখ টাকার জন্য করমুক্ত।
- মোট আয় ৩-৫ লাখ টাকার জন্য করহার ৫%।
- মোট আয় ৫-১০ লাখ টাকার জন্য করহার ১০%।
- মোট আয় ১০-১৫ লাখ টাকার জন্য করহার ১৫%।
- মোট আয় ১৫-২০ লাখ টাকার জন্য করহার ২০%।
- মোট আয় ২০ লাখ টাকার বেশি হলে করহার ২৫%।
উল্লেখ্য যে, এটি একটি সাধারণ ধারণা। আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আপনার প্রদেয় কর পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। আপনার প্রদেয় কর পরিমাণ নির্ধারণের জন্য অবশ্যই একজন আয়কর পরামর্শদাতার সাথে পরামর্শ করুন।
আয়কর রিটার্ন কত টাকা
আয়কর রিটার্ন হল এমন একটি নথি যা একজন করদাতাকে তার আয়, ব্যয় এবং করযোগ্য আয়ের বিবরণ প্রদান করতে হয়। এই তথ্যটি ব্যবহার করে করদাতা তার প্রদেয় কর পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেন।
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা সাধারণত বছরের শেষে হয়। তবে, করদাতারা যে কোনও সময় তাদের আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারেন।
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য, করদাতাদের অবশ্যই একটি আয়কর ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই ফর্মগুলি করদাতাদের আয়, ব্যয় এবং করযোগ্য আয়ের বিবরণ প্রদান করবে।
আয়কর ফর্মগুলি করদাতাদের নিজস্বভাবে পূরণ করা যেতে পারে, অথবা তারা একজন আয়কর পরামর্শদাতার সাহায্য নিতে পারেন।
করদাতাদের অবশ্যই আয়কর ফর্মের সাথে একটি প্রদেয় কর পরিমাণের চেক বা ডেবিট কার্ড জমা দিতে হবে। নিম্নলিখিত উপায়ে করদাতারা কর প্রদান করতে পারেন:
- অনলাইনে
- ডাকযোগে
- ব্যক্তিগতভাবে
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য, করদাতাদের অবশ্যই নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিতে হবে:
- আয়কর ফর্ম
- প্রদেয় কর পরিমাণের চেক বা ডেবিট কার্ড
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি (যদি থাকে)
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার পরে, করদাতারা একটি আয়কর রিটার্ন রিসিপ্ট পাবেন। এই রিসিপ্টটি করদাতাদের প্রদেয় কর পরিমাণের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়, করদাতাদের অবশ্যই নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে:
- আয়কর ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করা হয়েছে কিনা
- প্রদেয় কর পরিমাণ সঠিক কিনা
- অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া হয়েছে কিনা
আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়, করদাতাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আয়কর ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ না হলে, করদাতাদের অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হতে পারে। প্রদেয় কর পরিমাণ সঠিক না হলে, করদাতাদের কর ফেরত পেতে হতে পারে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জমা না দেওয়া হলে, করদাতাদের কর ফাইলিংয়ের জন্য জরিমানা দিতে হতে পারে।